রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের চড় হাইলারকাঠি এলাকায় জমি সংত্রুান্ত বিরোধের জেরে ঘর থেকে টেনে বের করে হালিম খলিফা (৪০) নামের এক ব্যাক্তিকে খুন করেছেন প্রতিপক্ষরা। সেই সাথে নারী সহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১ জনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করা হয়েছে এবং রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সুমী বেগমকে সাধারণ চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধা ০৭.৩০ এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত হালিম খলিফা মঠবাড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নিহত হালিম খলিফার স্ত্রী বলেন,জমিনিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার বিকেলে আমার স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। পরবর্তিতে সন্ধায় আমার বাড়ীর সামনে অনেকগুলো মটরসাইকেল ও মানুষ দেখতে পাই। তখন আমার স্বামীকে বাঁচাতে ঘরের ভিতরে নিয়ে দরজা আটকে দেই। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনি আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে গনি খলিফার ছেলে মন্টু খলিফা (৪১),মন্টু খলিফার ভাগিনা আজিজ হাওলাদারের ছেলে উজ্জল,আবু মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা, সেলিম খান এর ছেলে সেনা সদস্য তুহিন, কহিনুর বেগম, সেলিম খান, শাহিন, সোহাগ, সজীব, শামিম ও শাওনসহ ১৫/২০ জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে টেনে নিয়ে পার্শবর্তী একটি কালবার্ডের উপড় ফেলে তল পেটের নিচে বাম পায়ের সংযোগস্থল কেটে ফেলে। তখন অমার ভাই লিটন তাং আমার স্বামীকে বাচাঁতে গেগে তার পায়ের রক কেটে দেয় প্রতিপক্ষরা। আমার ছোটো ভাই সাইফুল ও আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। এরপরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমার স্বামী ও ভাই দের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে সেনা সদস্য তুহিন আমাদের গাড়ী আটকে দেয়। তখন আমাদের ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে তাদের সহায়তায় আমরা হাসপাতালে আসি। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তাব্যরত চিকিৎসক হালিম খলিফাকে মৃতু ঘোষনা করে এবং লিটনের অবস্থা বেগতিক থাকায় তাকে রবিশাল শেবাচিমে প্রেরন করেন। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং মন্টু ও তার স্ত্রী সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply